Friday, October 6, 2017

ছেলেরা কোথায়!?

আজ স্বশরীরে পরীক্ষা হলে গিয়ে দেখলাম ছেলে-মেয়ের যে অনুপাত তাতে তো অনেকগুনেই এগিয়ে থাকবে ছেলেরা।

অথচ বরাবরই পত্রিকার পাতা থেকে শুরু করে হিসাবের খাতায় মেয়েরা এগিয়ে। সব মেডিকেল।কলেজগুলোতে দএকএখা যাবে ছেলে-মেয়ে অনুপাতে ছেলে সংখ্যালঘু! এমনো মেডিকেল কলেজ আছে যেখানে ছেলেরা এককোনে জুবুথুবু হয়ে বসে থাকে একদল মেয়েদের ভিড়ে!

শুধু গ্রাজুয়েশনেই না, পোষ্ট-গ্রাজুয়েশনেও মেয়েদের জয়জয়কার। "মেয়েদের সাবজেক্ট" হিসেবে খ্যাত গাইনীতে কিন্তু অত ছেলেরা যায়না এখনো! অন্যদিকে এখন এমন কোন সাবজেক্ট নাই যেখানে মেয়েরা যাচ্ছেনা, বরং অনেকগুলোতে তারাই ডমিনেট করছে!

মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে, ভালো করছে সেটা সমস্যা না কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমাদের ছেলেদের হলোটা কি!?

নানাবিধ তাড়না, যাতনা ও দায়িত্বের যাতাকলে পড়ে এরা ঠিক কুলিয়ে উঠতে পারছে না কি!? আমার মনে হয় এই বিষয় নিয়ে সিরিয়াসলি ভাববার সময় এসেছে।

মেয়েরা যতই বলুক তাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছেই, আমাদের দেশে এখনো চিকিৎসক হিসেবে মেয়েদের সবজায়গাতে সুবিধাটা পরিপূর্ণ হয়নি। উপরুন্ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদের নিজস্ব সীমাবদ্ধতাও আছে, বিশেষ করে সংসার প্রতিপালন ও সন্তান লালনের দায়িত্বটুকু এখনো প্রায় পুরোটাই তাদের। তারা  রাত্রিকালীন ডিউটিতে অনেকক্ষেত্রেই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন, দূর্গম এলাকায় চাকুরি সম্ভব হয়না, মাতৃত্বকালীন ছুটিও প্রায় অর্ধবছর।

এসব প্রতিবন্ধকতার বাইরেও আরো হাজারো সমস্যার কারণে এই বিপুল সংখ্যক নারী চিকিৎসকের জন্য শেষপর্যন্ত গ্রাজুয়েশন হয়ে যায় "অর্নামেন্টাল"; বিয়ের বাজারে একটি অনন্য যোগ্যতা মাত্র! অনেকেই পোস্ট-গ্রাজুয়েশন শেষ করেও ঠিক যে মাপের বিস্তৃত সেবা কমিউনিটিতে দেয়ার কথা সেটা দিতে পারছেন না।

এই এতসব সীমাবদ্ধতা ও বাস্তবতার কথা কোন মেয়েকে নারীকে ছোট করবার জন্য নয় বরং তাদেরকে আরো বাস্তবসম্মত চিন্তা করবার জন্য, যারা পলিসিমেকার আছেন তাদের আরো ভাববার জন্য। সর্বপরি আমাদের ছেলে বা পুরুষদের আরো একটু সচেতন হবার জন্য, শেষে নিজের জায়গাটাতেও যেন একটা "অগ্রহণযোগ্য" আসাম্য চলে না আসে!

No comments:

Post a Comment