Saturday, October 7, 2017

প্যালিনড্রোম ৭/১০/২০১৭

আজকের তারিখ টি একটু ব্যতিক্রম। এটি একটি প্যালিনড্রোম ( অর্থাৎ সামনে থেকে এবং পিছন থেকে সমান)
আজকের তারিখ ৭-১০-২০১৭ উল্টো দিক থেকেও তাই। যেমন ৭১০২-০১-৭!

অন্যান্য সব ভাষার মত বাংলাতেও সুন্দর প্যালিনন্ড্রোম আছে! 
এমন কয়েকটা সুন্দর প্যালিনড্রোম...................

কিছু শব্দঃ

  • ইহাই
  • কনক
  • কালিকা
  • খামোখা
  • জলজ
  • তখত
  • তফাত
  • দরদ
  • নন্দন
  • নবজীবন
  • নবীন
  • নয়ন
  • নরুন
  • নিড়ানি
  • বনমানব
  • বলিব
  • বাহবা
  • মরম
  • মলম
  • মহিম
  • সন্ত্রাস
  • সন্ন্যাস
  • সরস
  • সরেস
  • সহিস
  • হুবহু


কিছু বাক্য বা নামঃ 

  • ইলু দলুই
  • ওর মা আজ আমারও
  • কাক কাঁদে কাঁক কা
  • কাকা তো কাকা
  • কীর্তন মঞ্চ পরে পঞ্চম নর্তকী
  • কেবল ভুল বকে
  • ক্ষীর রস সর রক্ষী
  • খা সমস্ত রুটি রুস্তম সখা
  • চার সের চা
  • চেনা সে ছেলে বলেছে সে নাচে
  • ঠাকুরদাদার কুঠা
  • তাল বনে নেব লতা
  • তুমি কি মিতু
  • তোল হস্তে আরে খা রে আস্তে হল তো?
  • থাক রবি কবির কথা
  • দাস কোথা থাকো সদা? 
  • দেবী দে
  • না না কেনা না
  • না বললে লব না
  • নাম লেখালেম না
  • নিধুরাম রাধুনি
  • নিমাই খসে সেখ ইমানি
  • বই চাইব
  • বল খেলব
  • বিকল্প কবি
  • বিরহে রাধা নয়ন ধারা হেরবি
  • বেনে তেল সলতে নেবে
  • মামাতো মামা
  • মার কথা থাক রমা
  • মীমার মামী
  • রবীন দা দানবীর
  • রমা তো মামা তোমার
  • রমাকান্ত কামার (এইটাই সবচে জনপ্রিয়)
  • রায়মণি ময়রা
  • সদাই দাস
  • সদানন দাস
  • সীমার মাসী
  • সুবর্ণা বসু
  • সুবললাল বসু
  • হারান রাহা



বাংলাভাষায় কিছু বড় প্যালিনড্রোম হল: (জানামতে)
তোল হস্তে আরে খা রে আস্তে হল তো?
বিরহে রাধা নয়ন ধারা হেরবি
চেনা সে ছেলে বলেছে সে নাচে!
কীর্তন মঞ্চ পড়ে পঞ্চম নর্তকী !

দাদাঠাকুর শরৎচন্দ্র পণ্ডিতই প্রথম বাঙালি যিনি বাংলায় প্যালিনড্রোম নিয়ে গভীরভাবে চর্চা করেছেন। দাদাঠাকুর সম্পাদিত ‘বিদূষক’ পত্রিকায় তিনি অনেক বাংলা প্যালিনড্রোম বাঙালিকে উপহার দিয়েছেন।

কাক কাঁদে কাঁক কা
চেনা সে ছেলে বলেছে সে নাচে
তাল বনে নেব লতা
মার কথা থাক রমা
রমা তো মামা তোমার
চার সের চা
বেনে তেল সলতে নেবে
ক্ষীর রস সর রক্ষী
কেবল ভুল বকে
দাস কোথা থাকো সদা? 
নিমাই খসে সেখ ইমানি
থাক রবি কবির কথা
বিরহে রাধা নয়ন ধারা হেরবি – ইত্যাদি হল দাদাঠাকুর সৃষ্ট অমর প্যালিনড্রোম। 

তাঁর সৃষ্টি একটি প্যালিন্ড্রমিক পক্ততিমালাঃ 
"রাধা নাচে অচেনা ধারা
রাজন্যগণ তরঙ্গরত, নগণ্য জরা
কীলক-সঙ্গ নয়নঙ্গ সকল কী? 
কীর্তন মঞ্চ‘পরে পঞ্চম নর্তকী"

আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে খ্রীষ্টধর্ম অনুযায়ী পৃথিবীর প্রথম শব্দ ছিল প্যালিনড্রোম!!!!!!
আদম প্রথম ইভকে প্রথম বলেছিল:
"MADAM 'I'M ADAM"! 

Friday, October 6, 2017

গ্যালকো আছে গ্যালকো! থাকলে দাও!

আমার মেয়ে টিভি খুব একটা দেখেনা কিন্তু সে কোন একসময় কোন বিজ্ঞাপন দেখেছে। সেইটাই আওড়াচ্ছে আজ:

গ্যালকো আছে, গ্যালকো! থাকলে দাও!

খুব গম্ভীর মুখে সে বলে বেড়াচ্ছে! এত বিজ্ঞাপন থাকতে, এত জিংগেল, এত পাঞ্চ লাইন থাকতে সে খুঁজে পেয়েছে এমন একটা লাইন যে বিজ্ঞাপন আমি নিজেও দেখেছি বলে মনে পড়েনা

... গ্যালকো আছে গ্যালকো! থাকলে দাও!!

০৪/১০/২০১৭

ছেলেরা কোথায়!?

আজ স্বশরীরে পরীক্ষা হলে গিয়ে দেখলাম ছেলে-মেয়ের যে অনুপাত তাতে তো অনেকগুনেই এগিয়ে থাকবে ছেলেরা।

অথচ বরাবরই পত্রিকার পাতা থেকে শুরু করে হিসাবের খাতায় মেয়েরা এগিয়ে। সব মেডিকেল।কলেজগুলোতে দএকএখা যাবে ছেলে-মেয়ে অনুপাতে ছেলে সংখ্যালঘু! এমনো মেডিকেল কলেজ আছে যেখানে ছেলেরা এককোনে জুবুথুবু হয়ে বসে থাকে একদল মেয়েদের ভিড়ে!

শুধু গ্রাজুয়েশনেই না, পোষ্ট-গ্রাজুয়েশনেও মেয়েদের জয়জয়কার। "মেয়েদের সাবজেক্ট" হিসেবে খ্যাত গাইনীতে কিন্তু অত ছেলেরা যায়না এখনো! অন্যদিকে এখন এমন কোন সাবজেক্ট নাই যেখানে মেয়েরা যাচ্ছেনা, বরং অনেকগুলোতে তারাই ডমিনেট করছে!

মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে, ভালো করছে সেটা সমস্যা না কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমাদের ছেলেদের হলোটা কি!?

নানাবিধ তাড়না, যাতনা ও দায়িত্বের যাতাকলে পড়ে এরা ঠিক কুলিয়ে উঠতে পারছে না কি!? আমার মনে হয় এই বিষয় নিয়ে সিরিয়াসলি ভাববার সময় এসেছে।

মেয়েরা যতই বলুক তাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছেই, আমাদের দেশে এখনো চিকিৎসক হিসেবে মেয়েদের সবজায়গাতে সুবিধাটা পরিপূর্ণ হয়নি। উপরুন্ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদের নিজস্ব সীমাবদ্ধতাও আছে, বিশেষ করে সংসার প্রতিপালন ও সন্তান লালনের দায়িত্বটুকু এখনো প্রায় পুরোটাই তাদের। তারা  রাত্রিকালীন ডিউটিতে অনেকক্ষেত্রেই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন, দূর্গম এলাকায় চাকুরি সম্ভব হয়না, মাতৃত্বকালীন ছুটিও প্রায় অর্ধবছর।

এসব প্রতিবন্ধকতার বাইরেও আরো হাজারো সমস্যার কারণে এই বিপুল সংখ্যক নারী চিকিৎসকের জন্য শেষপর্যন্ত গ্রাজুয়েশন হয়ে যায় "অর্নামেন্টাল"; বিয়ের বাজারে একটি অনন্য যোগ্যতা মাত্র! অনেকেই পোস্ট-গ্রাজুয়েশন শেষ করেও ঠিক যে মাপের বিস্তৃত সেবা কমিউনিটিতে দেয়ার কথা সেটা দিতে পারছেন না।

এই এতসব সীমাবদ্ধতা ও বাস্তবতার কথা কোন মেয়েকে নারীকে ছোট করবার জন্য নয় বরং তাদেরকে আরো বাস্তবসম্মত চিন্তা করবার জন্য, যারা পলিসিমেকার আছেন তাদের আরো ভাববার জন্য। সর্বপরি আমাদের ছেলে বা পুরুষদের আরো একটু সচেতন হবার জন্য, শেষে নিজের জায়গাটাতেও যেন একটা "অগ্রহণযোগ্য" আসাম্য চলে না আসে!