খুব হতাশার সাথে খেয়াল করলাম যে বিশ্ববিদ্যালয়কে একসময় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলা হত, যেখান থেকে আমাদের ভাষা আন্দোলনের সূচনা, দেশের ক্রান্তিকালে যেখান থেকে প্রথমে বলিষ্ট কন্ঠ শোনা গেছে সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার সেই জায়গা থেকে অনেকদূর সরে এসেছে।
পৃথীবির সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০০ নামের তালিকা করলেও সেখানে প্রাচ্যের অক্সফোর্ডকে খুজে পাওয়া যাবেনা।
নিকট অতীতে দেশের কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও এই ছাত্রসমাজকে জেগে উঠতে দেখা যায়নি, দেশের শিল্প-সংস্কৃতি থেকে রাজনৈতিক চেতনার বীজপত্র বলে যে বিদ্যাপীঠকে সকলে জানত তারা এখন যে কোন ইস্যুতে ভাংচুর করে বেড়ায়, গত এক বছরের ঘটনাক্রম দেখকে দেখা যাবে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে শুরু করে সরকারি হাসপাতালগুলোতে তারা নারকীয় তান্ডব চালিয়েছে বারংবার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্রের ফেসবুক পোষ্ট দেখার সৌভাগ্য হল বলেই এগুলো লিখছি। সেখানে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে তা চূড়ান্ত অশোভন এবং অবশ্যই তারা যদি নিজেদের "সভ্য" দাবী করে তবে এ ভাষা তার পরিপন্থী! (কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আঘাত দিতে চাইছিনা বলেই কোন স্ক্রীনশট দিচ্ছিনা!)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এখানে যে ভূমিকা।নিয়েছেন তা তাকে অবিবেচক ও চূড়ান্ত হাস্যকর ব্যক্তিতে পরিণত করেছে।
আমরা কোথায় যেন পচে গেছি, গন্ধটা মাঝে মাঝে নাকে খুব লাগে। একটা সামগ্রিক অধ:পতন হয়ে গেছে কোথাও। আগে সেখানে হাত দিন। এখন প্রানপণে নিজেদের সম্মান সবটুকু হারানোর চেষ্টা করছেন, হারানো সম্মান ফিরে পেতে একটুও নয়!
ডাক্তার সমাজ আজ ক্ষুব্ধ! তাদের পরম শ্রদ্ধার জায়গাটায় একটা চূড়ান্ত অসম্মান হয়ে গেছে কিন্তু খেয়াল করেছেন, যিনি মারা গেলেন তার প্রতি কতটা সম্মান দিয়ে কথা বলছে এ ডাক্তারেরা! এর সিকিভাগও যদি আপনারা আপনাদের স্বজন-বান্ধবদের বা নিজেদের দিতেন!?
আমরা আরো "ভালোতর" বাংলাদেশ পেতাম, কারণ আমি-আপনি-আমরাই কিন্তু বাংলাদেশ!
No comments:
Post a Comment