আমি নিজে কখনো এইখবরগুলো শেয়ার করতে চাইনা, আমার কাছে মনে হয় এগুলো শেয়ার করাও এক ধরণের "প্রচারণা"!
এমনটা কখনোই ঘটেনা যে একটা নিউজ শেয়ার করার পর এ থেকে "শিক্ষা" নিয়ে লোকে অপরাধ কমিয়ে দেয় বরং উল্টোটাই ঘটে! সাফাতের ঘটনার পর এ থেকে "অনুপ্রাণিত" হয়ে দেখা যাবে আরো সাফাত জন্ম নেবে, শুধু তাই নয় তারা আরো "সাবধানী" হবে!
দিল্লীর বাসের ঘটনার পর কি খেয়াল করেছেন যে এইরমক ঘটনা অনেক মিডিয়ায় আসতে লাগলো। সেটা শুধু "টেম্পোরারি নিউজ ট্রেন্ড" এর কারণেই না! তখন রাত্তিরবেলা কোথাও বাসে-ট্রেনে একাকী কোন নারীকে দেখলেই অনেকের মাথায় আসবে "এইত ক্রিমিনাল হবার সুযোগ"! পিজিটিভ চিন্তা এখানে মূখ্য হয়ে ওঠেনা।
কারণ...
ব্যধিই সংক্রামক, স্বাস্থ্য নয়!
তাই আমাদের আসলে আরো গভীরে হাত দিতে হবে। কিছুদিন আগে মনে আছে কি অসহায় একটা সময় পার করেছে এই দেশের মানুষ। বাসভর্তি লোকজন থাকতেই অল্পকিছু টাকার জন্যে পুরো বাসে আগুন দিয়ে দিয়েছে কেউ, সামান্য কিছু টাকায় একটা জটলার মাঝে কেউ বোমা মেরে দিয়েছে, খুব তুচ্ছ কিছু ইস্যুতে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের শেষ সম্বলে দাউ দাউ আগুনে ধ্বংস করেছে কেউ।
এই "কেউ"এরা কারা?
তারা কি ভীনগ্রহ থেকে এসেছে নাকি চুপেচাপে পাশের বা তার একটু পাশের কোন দেশ থেকে এসেছে!?
না! তারা এই দেশেরই আলো হাওয়ায় বেড়ে ওঠা মানুষ, বাসে প্রতিদিন যাদের পাশে বসি বা বাজারে যাদের সাথে এক কাতারে দাঁড়িয়ে দরদাম করি, ভিড়ভাট্টায় যাদের সাথে গায়ের ঘাম মিলেমিশে যায় এরা তারাই!
কি সাবলীলভাবেই না আমরা নিজেরা নিজেদের স্বপ্ন ভেঙে দেই, একে অন্যের হত্যাকারী হয়ে উঠি!
কিন্তু কেন আমরা এমন বদলে গেলাম!?
যে দেশের মানুষেরা শুধু একটি ফুলকে বাঁচাবে বলে একসাথে হাতের মুঠোয় প্রাণ দিতে পারে তারা কেন এমন হবে!?
কেন?
আমরা আমাদের শেকড়টাতে বহুদিন জল-পানি দেইনা। গাছের পাতা ফুলে রঙ লাগিয়ে সুন্দর দেখাচ্ছে বটে কিন্তু ঝড় এলে গাছ টিকে থাকবে কিনা সন্দেহ দেখা দিয়েছে। ভেতরে ভেতরে আমরা বড় পচে গেছি, সুন্দর আবেগ-প্রেম-ভালোবাসা-মমতা-স্নেহগুলোকে মেরে ফেলেছি! জাগাতে হবে সেগুলো নইলে অনিশ্চিত আগামী নিশ্চিত অসুন্দর!
No comments:
Post a Comment