Friday, December 26, 2014

মানুষকে মানুষ করা লাগে ; হওয়া লাগে

নাইট ডিউটিতে আজ দলবলসহ এক লোকাল "হাম্বাদিক" তার ৯ মাসের শিশুকে নিয়ে আসছে; ইপিলেপ্সি উইথ নিউমোনাইটিস (ণিউমোনাইটিস এর কারণ হল খিঁচুনির মাঝেই আবার তার হাবলু মাকাল ফল বউটা বাচ্চাকে দুধ খাইয়েছে!) নিয়ে আসা শিশুকে তাদের হম্বিতম্বিকে ইগনোর করেই চিকিতসা দেয়া হইল - ভর্তি করে দিলাম ; বল্লাম খিঁচুনি আবার হলে কিন্তু ফরিদপুর নিতে হবে!তারাও আপত্তি করলনা।

এরমধ্য দুইটা মারামারির কেইস আসছে ; তাদের একজনের আঘাত বাম চোখের নিচে - খুব কষ্টে চোখ বাঁচিয়ে "নাইলন" দিয়ে সেলাই দিলাম! (এখানে সিল্ক/প্রোলিন নাই! দোকানেও নাই! সেলাই দেয়ার জন্য সুতা পরানোর সুই; নাই কোন টুথ ফরসেপ;স্কীন মার্জিন কাটতে হল একটা প্লাস্টিকের হাতলওয়ালা কাগজ-কাটার কাচি দিয়ে!) দুইজনের চেহারা মুটামুটি দেখার মত হইলে তারা শুরু করল "২৬" দিতেই হবে আলাপ! আমুক ডিজি তমুক চেয়ারম্যান এর সাথে কথা বলেন এইসব । সেইটাও ভুলায়ে ভালায়ে এড়িয়ে গেলাম।

ততক্ষণে হাম্বাদিকের ছেলেটা স্ট্যাবল; আর খিঁচুনি হয়নাই; এইবার বাসায় যাবে ওষুধ নিয়ে! কয়েকবার দেখে আসছি আর শেষবার ছাড়পত্র; তাও লিখে দিছি!

এইবার হাম্বাদিক সরাসরি বলল :"যাক এইবার একটু সাংবাদিকতা করি; (আমি ভাবলাম ভিক্টিমের নাম ধাম; আঘাতের ধরণ এইসব জানতে চাইবে!) শিতের দিন; আমারো পকেট খালি; আসেন একটু পকেট গরম করি ; আপনারে কিছু দেই আমি কিছু নেই! আমিও খুশি আপনিও খুশি! "

আমি থ! শুধু বল্লাম : "আপনার বাচ্চাটা ভালো আছে এইটা খুশির কিছু না!?"

বলদায় খালি বলদার মত হাসে আর হাত কচলায়! আমার মনে প্রশ্ন জাগে : "ফুটফুটে বাচ্চাটা কি মানুষ হবে!? এইরকম আবর্জনা হবে নাতো!?'

posted from Bloggeroid

Wednesday, December 17, 2014

হাউ দে ডু।ইট! হাউ???

ধর্ম নিয়ে ব্যাবসা' কথাটা খুবই প্রচলিত! দেশে দেশে সে সে দেশের সং্খা গরিষ্ঠ লোকের ধর্ম (টার্গের কঞ্জুমার বাড়ে!) নিয়ে ব্যাবসা হয়!

আমাদের দেশেও ইসলাম নিয়ে ব্যাবসা হয়। মোল্লা - মৌ-লোভি'রা আল্লাহ'র নামে ব্যাবসা করে ; তাবিজ - কবজ দেয়; দাওয়া থেকে দিলে খুশ হাওয়া; সবকিছুতে আল্লাহর নামে তারা দুটো করে খায়। এদেশের ফুটপাতের হুজুর ("দাড়িয়াল" ভাই) থেকে আলিশান দালানের নুরানি বাবা সবাই কমবেশি আলাহর নামে ব্যাবসা করে।

তাই বলে টিভিসি তে "আল্লা লকেট" নিয়ে এমন ব্যাবসা! আপনি জাগতিক যত সুবিধার কথা মাথায় আনতে পারেন সেগুলো তো আছেই; সাথে "চেহারা সুন্দর হওয়া"ও আছে! আর এগুলো বলে যাচ্ছে একজন "উদার" তরুণী তার সেই লকেটখানি ঝুলিয়ে-দুলিয়ে! যেন এইটাও বাজারি জিনিষ ; একটা সাপ-খোপ বা হাতি-ঘোড়া!
আবার সাথে দুইটা "আল্লা" লকেট কিনলে একটা "মুহাম্মাদ" লকেট ফ্রি!

কিভাবে পারে এইগুলা!? মুর্খের দল!

হাউ ডেয়ার দে টু ডু দিজ!!! হাউ???

posted from Bloggeroid

Tuesday, December 16, 2014

মুখোশ

ছুটে চলেছি রাতের আধার কেটে সামনে ; সবাই আসলে সামনেই ছোটে তাইনা - পেছনে ছোটা যায়না; সেটাও আসলে পেছন-দিকে-সামনে ছোটা!
ছুটেই চলেছি আমি - আমরা; দিন - রাত; কোন এক উদ্দেশ্য নিয়ে; প্রতিদিন নতুন নতুন তাড়নায় ছুটে চলা! আসলে এই ছোটাছুটির অনেকটাই কি "আযথা"-"অর্থহীন"বা কখনো কখনো "আপেক্ষিক"না!?
মনে পড়ে গেল কোন এক গণিতবিদ নাকি তার প্রায় সারাজীবন কোন এক গাণিতিক সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করার পর শেষ জীবনে এসে বুঝেছেন "এই সমস্যাটায় সমস্যা আছে"; মানে একটা ভুল "সমস্যা" সমাধানের চেষ্টায় তার পুরো জীবনের সময়টুকুই চলে গেছে; যেই সময় যে জীবন সে মাত্র "একবার"ই পেয়েছিল!
আহা-ইস! কী অপচয়! লোকটার "একমাত্র" জীবন-সময়টা কোন কাজেই লাগলোনা!
আমার কেন যেন মনে হয় অনেকের মত বা ওই "গণিতবিদ"এর মত আমারো জীবনটা অপচয় হয়ে যাবে! প্রায় আধটুকু সময় পার করেই ফেলেছি (সাধারণ হিসেব নিকেষে; যদিও নিমেষের কথা কে-ই বা বলতে পারে!)
কেন যেন এসব ভাবলে খুব আফসোস হয়; খুব!
অন্য হাজারটা দুনিয়ার মোহ-মুখোশ ও আমাকে স্বস্তি দেয়না!

posted from Bloggeroid

Monday, December 15, 2014

হায়রে জাতি

সারা দুনিয়া যখন সুন্দরবনকে নিয়ে বিচলিত ; ভারত ইতিমধ্যে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে; জাতিসংঘ নিজেই চাইছে সাহায্য করতে সেইখানে আমাদের দেশের হর্তাকর্তাগন কি করবে তাই বুঝে উঠতে পারছেন না! তারা নাকি "জলবায়ু " না কি সন্মেলনে দেশের বাইরে তাই সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হচ্ছে!

সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে নৌপথ বন্ধ করায় যেই সবাই সাধুবাদ দিচ্ছে সেই নৌমন্ত্রি মনে করিয়ে দিলেন: "না! না! ঐটা বন্ধ সাময়িক!"

দেশের মাথারা বলছেন : "যত ভাবা হয়েছিল তত ক্ষতি হবেনা"!
এই হচ্ছে এই দেশের অবস্থা! আরে বলদ গোড়াতেই তো গলদ!!!

আগে তো বুঝতে হবে "সুন্দরবন" কি জিনিষ; পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন; এর মানেটা কি!
বলদ দিয়ে পিটিয়ে হাল চাষ হয়; সুন্দরবন রক্ষা হয়না! এগুলো ভাবতেই মাথায় আগুন ধরে যায়; সব দরকারি যায়গায় আযোগ্য লোক বসে আছে!

ওরা হয়ত ভাবছে ; "ইসসিরে! কত্ত ত্যাল নষ্ট হইয়া গ্যালো! গ্যালন গ্যালন ত্যাল!"
হায়রে আভাগা জাতি ; দাত থাকতে কোনদিন দাতের মর্যাদা বুঝলিনা!