মানুষ পুরো পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় এনেছে। সবকিছু আজ আংগুলের ডগায়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এখন উন্নতির শিখরে। মানুষের অহংকার আর দম্ভের শেষ নাই।
সেই মানুষ আজ সামান্য ভাইরাসের কাছে অসহায়। কেউ কি ভেবেছিল এই আধুনিক যুগে, এই বিজ্ঞানের জয়জয়কার অবস্থায় একটা সামান্য ভাইরাস পুরো পৃথিবীর সব সেরা শক্তিকে, সেরা বুদ্ধিকে, সেরা ব্যবস্থাকেও অসহায় করে দেবে।
যে বাতাস আমাদের প্রাণ জুড়ায়, বায়ুসমুদ্রে ডুবে থেকে যে বাতাস থেকে অকক্সিজেন পাই আজ সে বাতাসকেই ভয় পাচ্ছি! ছেঁকে শ্বাস নিচ্ছি!
সেই সামান্য বাতাসই যখন জোরে বইছে তখন এই ঢাকায় শক্ত দালানে বসে ভীত হচ্ছি!
অথচ এই বাতাস আসছে আরও ৪০০ কিলোমিটার দূর থেকে যেখানে মানুষ আছে, আর তারাও সবাই এমন ইটের দালানে নেই; অনেকের হয়ত ঠুনকো টিনের চাল!
এই বাতাস বয়ে আসছে সমুদ্রের ওপর দিয়ে, বিশাল জলরাশিকে সে উন্মত্ত করে তুলেছে! এতটাই তার শক্তি যে, সে সেই বিশাল জলরাশিকে সাগরতীরের ওপর দিয়ে ১২-১৪ ফুট পর্যন্ত উচ্চতা নিয়ে আছড়ে পড়তে পারে!
এসবকিছুর পরেও কি আমরা মানুষেরা বুঝব না যে, আমরা কতটা অসহায়! কতটা ক্ষুদ্র! কতটা সীমিত আমাদের শক্তি!
আর এরপরেও কি আমরা এইসব মহাশক্তির প্রতি অনুগত হব না! সেই সর্বশক্তির প্রতি নতমস্তক হব না!? এখনো কি আমরা পৃথিবীতে দম্ভ করে বেড়াবো!?
No comments:
Post a Comment