Monday, August 28, 2017
মেয়ের কাছ থেকে শিখি
Thursday, August 24, 2017
সমস্যা নাকি ব্যবসা
সাম্মী কি করেছে এটা!?
রোজনামচা - ২৩.০৮.২০১৭
হায় জীবন!
Tuesday, August 22, 2017
নীল আকাশের নীচে...
নায়ক রাজ রাজ্জাক এই নীল আকাশের নীচে আর নেই। কোন এক অনন্ত আসীমের দিকে চলে গেছেন। সেখানকাকার আকাশ হয়ত আরো নীল!
প্রথম খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয় স্কয়ার হাসপাতালে যখন তিনি ভর্তি হন সার্জারী ইউনিটে সানাওয়ার স্যারের অধীনে। বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রায়ই অসুস্থ থাকতেন, বেশ কয়েকবার আইসিইউ ঘুরেছেন। প্রচুর সিগারেট খেতেন, ফুসফুস তা মেনে নেয়নি। অল্পতেই নিউমোনিয়া হয়ে যেত তবুও সিগারেট খাওয়া কমান নি।
তো সেদিন রাউন্ডে স্যার আসলে প্রথমেই আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন: "কি ব্যাপার। নায়কের কি অবস্থা? চলতো দেখে আসি"
আমি প্রথমে ধরতেই পারিনাই স্যার কি বলছেন। যারা সানাওয়ার স্যারকে চেনেন তারা জানেন তিনি কি রকম রাশভারি মানুষ, তাঁর সব আবেগই নিয়ন্ত্রিত! তিনি যখন উচ্ছাস প্রকাশ করেন সেইটা আলাদাভাবেই ধরা যায়। স্যার প্রথমেই নায়কের রুমে গেলেন।
- কি নায়করাজ! কি খবর?
অনেক্ষণ কথা শুনলেন, প্রায় সবই "আধ্যাত্মিক টাইপ" কথা, নায়ক রাজও তাঁর কথার ঝাঁপি খুলে বসলেন। তাঁর শ্বাসের সমস্যা নাকি অনেক আগে থেকেই। সে সময়েই নাকি শুটিঙয়ের ফাঁকে তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে "বেনজিন ইনহেলেশন" নিতে হত!
"সাল্বুটামলে কাজ করেনা আমার ঐ বেনজীনই ভালো ছিল।"
বোঝা যাচ্ছিল অনেক ঘুরে তাঁর সব ওষুধ যেমন মুখস্ত তেমন ওষুধে আস্থাও কম! ঐ অবস্থায়ও তাঁকে কেবিনে সিগারেট খাওয়া থামানো যায়নি। নাকয়েরা এমনই হয়। তারাই স্টাইল তৈরী করে, তাঁদের জন্য সব আলাদা!
নায়কেরা সার্বজনীন। রাজ্জার নায়ক রাজ। নায়কদের রাজা। সানাওয়ার স্যার যতই আমাদের নায়ক হোক, স্যারেরও নায়ক তিনি! স্যার তাঁকে কেবিন থেকে বেরিয়ে বললেনঃ
- নায়ক রাজ তাইনা? চলো অন্য রোগী দেখি!
আসলেই তিনি নায়কদের রাজা, নায়কদের নায়ক!
Thursday, August 10, 2017
সাম্মীকে রোদে দেই
দুপুরবেলা..
জানালা দিয়ে রোদ এসে পড়েছে বিছানায়। সেই রোদে বিছানার একটা বালিশ দেয়া আছে, ঘামে ভেজা বালিশগুলো তাতে একটু তরতাজা হয়।
আমার মেয়ে তার উপর গিয়ে বসে পড়েছে, বেশ কড়া রোদ তার গায়েও লাগছে। এ দেখে তারা মা যখন তাকে বললো:
- মা! কি করো!? রোদে কেন বসেছ? এদিকে আসো মা!
সে উদাস নয়নে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে, দু হাত কোলে ভাজ করা। উত্তর নাই।
আবার মায়ের প্রশ্ন:
-সাম্মী! কি করো!?
এবার সাম্মীর উত্তর:
-সাম্মীকে রোদে দিই!
(কিছু বলার আছে!? নাই। 😰)
০৬.০৮.২০১৭
রোজনামচা ০১.০৮.২০১৭
কত কি যে লিখতে ইচ্ছে করে!
এই যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ ঘোষণা দিয়ে দিলেন সিদ্দিকুরকে "স্বাস্থ্য অধিদপ্তর" চাকুরি দেবে, তার চোখ ভালো না হলেও"; এমনিতেই পুলিশের করা ঘা'য়ে মলম লাগানোর দায়িত্ব নিজের কাধে তুলে নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, না মন্ত্রণালয় নয় কিন্তু! সিদ্দিকুরকে বাইরে নেবার ৬ লাখ টাকা যেমন যোগাড় করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তেমনি তাকে চাকরিও দেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর! ওদিকে পুলিশ মুখে কুলুপ এটে বসে আছে! মাঝে বলেছিল "ইটের টুকরা"! এখন এখন যেহেতু নাসিম সাহেব সব বলে দিচ্ছেন তাই তারা চুপ চাপই আছে, এমনকি ঠিক কোন পুলিশ সদস্য টিয়ার শেল ছূড়েছিল তাও কিন্তু পুলিশ কখনও বলেনি। অথচ সব টিভি চ্যানেলের ফুটেজে আছে কে কিভাবে শেল ছুড়লো!!!
আবার এদিকে শিশু তোহফা তহুরাকে দেশে প্রথমবারের হাইপোপেগাস অপারেশন হয়ে গেল সবার অজান্তেই। অথচ দেশের চিকিৎসা ইতিহাসে এটি নি:সন্দেহে একটা মাইলফলক! সরকারি সুযোগ-সুবিধাতেই কিন্তু হয়েছে এই অপারেশন! দেশের সব বড় অর্জনই কিন্তু এসেছে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায়, কিন্তু "ব্যবসার" অংশটার কারণে বেসরকারি খাত এখনও মানুষের "আস্থা"র জায়গাটায় আছে। কারণ বিজ্ঞাপন আর চাকচিক্যময় পরিবেশ মানুষকে সরকারি সেবার প্রতি আস্থাহীন করেছে, নিজেদের পকেটের টাকায় "বড়" করছে তাদের!
আবার ইউএনও সালমন সাহেবকে "সিনিয়র সহকারী সচিব" এর মর্যাদা দিয়ে সচিবালয়ে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রশাসন কিন্তু তাদের পরিবারের সদস্যকে সর্বোচ্চ সমর্থন দিয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের সদস্যকেও কিন্তু মাথা নত করতে হয়েছে প্রশাসন সেটা বাধ্য করেছে।
এই হলো আমাদের অবস্থা! আমরা অন্যান্য ক্যাডার থেকে বহুগুণ পেছনে পড়ে আছি। আমাদের অনেক শিখতে হবে, নতুনদের যেমন তেমন আমাদের সিনিয়রদেরও, যারা আমাদের নীতিনির্ধারক, পথপ্রদর্শক। আসলে আমার নিজের কাছে মনে হয় তাদেরকেই বেশী "আপগ্রেড" হতে হবে, জনপ্রসাশন কিন্তু নিজেদেরকে বয়সের সাথে সাথে উন্নত করে আর আমরা যেন "ম্যানেজার" হিসেবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে আরো "সংকীর্ণমণা", কোন কোন ক্ষেত্রে "অথর্ব" হয়ে যাই!