আসলে তারিখটা ২৪ হওয়া দরকার ছিল। বাসায় ফিরতে দিন পার হয়ে গেল!
টিটু স্যারের কাছে মায়ের রিপোর্টগুলো দেখাইতে গেছিলাম, প্রায় ০১.৩০ ঘন্টা অপেক্ষা করে দেখাতে পারলাম। যেতে বেশী বেগ পেতে হয়নাই কিন্তু জ্যাম ছিল। আসার সময় ভেবেছি বাস পেলে রাস্তা তো ফাকা। কিন্তু পথে নেমে দেখি পল্টন মোড়ে বিশাল জ্যাম। সব ট্রাক আর কিছু লরি বের হয়ে গেছে রাস্তায়, এই রাতেও ট্রাফিক একজন দাঁড়িয়ে। বাস থেকে নেমে গেছি প্রেসক্লাব মোড়েই। হেটে সামনে এসে দেখি অবস্থা এই। কোন চ্যানেল থেকেই বাস আসছে না, সব ঘুরে যাচ্ছে নয়ত জ্যামে আটকে আছে!
তাই অগত্যা একটা রিক্সা নিলাম, রিক্সা যখন দৈনিক বাংলা থেকে ডানে বংগভবনের দিকে মোড় নিলো তখন রাস্তার দুপাশে অনেকেই রাতের ঘুমের আয়োজন করছে, কিছু ছেলেপেলে কোন নেশার আয়োজনে আছে, একটা কোনে দেখলাম পলিথিন খাটিয়ে উঠতি বয়সী এক মেয়ে কোন এক আয়োজন করছে যেখানে মশার কয়েলের এন্তেজাম আছে! মেয়েটা তার অর্থনৈতিক অবস্থার তুলনায় স্থূলকায়, হয়ত ওসিপির এফেক্ট!
হায় জীবন!
এ ডৃশ শেষ না হতেই সামনে আগোতেই দেখি এক মা তার দুধের শিশুকে নিয়ে একেবারে রাস্তায় বসে গেছে, তার সাথে কয়েকজন ফুটপাথ থেকে পা ঝুলিয়েছে রাস্তায়, যেন বাড়ির উঠানে তারা ভরা আকাশের নীচে গল্পের আসর বসেছে! বাচ্চাটা খেতে খেতে ঘুমিয়েই গেছে, শিথিল ধুলোমাখা পা দুটো মায়ের কোল থেকে ঝুলে আছে, মা একহাতেই আলস্যে ধরে আছে শিশুকে। বাবা কে বোঝা গেলনা যারা ছিলো সবাই আরো অল্পবয়েসী। হয়ত মা ফুটপাতেই জীবিকার সন্ধান মেলে!
ইস! কী কঠিন দৃশ্য!
নিজের বাচ্চা আছে বলে এগুলো খুব বেশী লাগে! একেবারে বুকের ভেতর মুচড়ে ওঠে! এদের জন্য কিছু করা দরকার। বড় হয়ে গেলে, বুঝতে শিখলে একটা কিছু হোক, কিন্তু এই শিশুদের কেন এমন হবে!?
আমার মেয়েটার মত ওদেরকেও বড় ভালোবাসতে ইচ্ছা করে, একটু মমতার ছোঁয়া দিতে ইচ্ছে করে। এটুকু ওদের পাওনা!
২৩.০৮.২০১৭
No comments:
Post a Comment