কত কি যে লিখতে ইচ্ছে করে!
এই যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ ঘোষণা দিয়ে দিলেন সিদ্দিকুরকে "স্বাস্থ্য অধিদপ্তর" চাকুরি দেবে, তার চোখ ভালো না হলেও"; এমনিতেই পুলিশের করা ঘা'য়ে মলম লাগানোর দায়িত্ব নিজের কাধে তুলে নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, না মন্ত্রণালয় নয় কিন্তু! সিদ্দিকুরকে বাইরে নেবার ৬ লাখ টাকা যেমন যোগাড় করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তেমনি তাকে চাকরিও দেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর! ওদিকে পুলিশ মুখে কুলুপ এটে বসে আছে! মাঝে বলেছিল "ইটের টুকরা"! এখন এখন যেহেতু নাসিম সাহেব সব বলে দিচ্ছেন তাই তারা চুপ চাপই আছে, এমনকি ঠিক কোন পুলিশ সদস্য টিয়ার শেল ছূড়েছিল তাও কিন্তু পুলিশ কখনও বলেনি। অথচ সব টিভি চ্যানেলের ফুটেজে আছে কে কিভাবে শেল ছুড়লো!!!
আবার এদিকে শিশু তোহফা তহুরাকে দেশে প্রথমবারের হাইপোপেগাস অপারেশন হয়ে গেল সবার অজান্তেই। অথচ দেশের চিকিৎসা ইতিহাসে এটি নি:সন্দেহে একটা মাইলফলক! সরকারি সুযোগ-সুবিধাতেই কিন্তু হয়েছে এই অপারেশন! দেশের সব বড় অর্জনই কিন্তু এসেছে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায়, কিন্তু "ব্যবসার" অংশটার কারণে বেসরকারি খাত এখনও মানুষের "আস্থা"র জায়গাটায় আছে। কারণ বিজ্ঞাপন আর চাকচিক্যময় পরিবেশ মানুষকে সরকারি সেবার প্রতি আস্থাহীন করেছে, নিজেদের পকেটের টাকায় "বড়" করছে তাদের!
আবার ইউএনও সালমন সাহেবকে "সিনিয়র সহকারী সচিব" এর মর্যাদা দিয়ে সচিবালয়ে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রশাসন কিন্তু তাদের পরিবারের সদস্যকে সর্বোচ্চ সমর্থন দিয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের সদস্যকেও কিন্তু মাথা নত করতে হয়েছে প্রশাসন সেটা বাধ্য করেছে।
এই হলো আমাদের অবস্থা! আমরা অন্যান্য ক্যাডার থেকে বহুগুণ পেছনে পড়ে আছি। আমাদের অনেক শিখতে হবে, নতুনদের যেমন তেমন আমাদের সিনিয়রদেরও, যারা আমাদের নীতিনির্ধারক, পথপ্রদর্শক। আসলে আমার নিজের কাছে মনে হয় তাদেরকেই বেশী "আপগ্রেড" হতে হবে, জনপ্রসাশন কিন্তু নিজেদেরকে বয়সের সাথে সাথে উন্নত করে আর আমরা যেন "ম্যানেজার" হিসেবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে আরো "সংকীর্ণমণা", কোন কোন ক্ষেত্রে "অথর্ব" হয়ে যাই!
No comments:
Post a Comment