হুমায়ুন আহমেদ এর বইয়ের বদৌলতে প্রথম লাইনটি প্রবল
জনপ্রিয় কিন্তু পরের লাইনগুলোও পড়ে ফেললে মূল অর্থটা আলাদা হয়ে ধরা দেয়, কতইনা
সুন্দর ও সত্য! বিশ্বাস আর আস্থার জায়গা "একেকজনের একেকজনে" থাকে কিন্তু
সেগুলো সবই আসলে "আপেক্ষিক"!
সত্যিকারের আস্থা, স্বস্তি ও আশ্রয়, তুমিই; হে পরম করুণাময়!!!
সত্যিকারের আস্থা, স্বস্তি ও আশ্রয়, তুমিই; হে পরম করুণাময়!!!
নয়ন
তোমারে পায় না দেখিতে, রয়েছ নয়নে নয়নে।
হৃদয়
তোমারে পায় না জানিতে, হৃদয়ে রয়েছ গোপনে ॥
বাসনার বশে মন অবিরত ধায় দশ দিশে পাগলের মতো,
স্থির-আঁখি তুমি মরমে সতত জাগিছ শয়নে স্বপনে ॥
সবাই ছেড়েছে, নাই যার কেহ, তুমি আছ তার আছে তব স্নেহ--
নিরাশ্রয় জন, পথ যার গেহ, সেও আছে তব ভবনে।
তুমি ছাড়া কেহ সাথি নাই আর,সমুখে অনন্ত
জীবনবিস্তার--
কালপারাবার করিতেছ পার কেহ নাহি জানে কেমনে ॥
জানি শুধু তুমি আছ তাই আছি, তুমি প্রাণময় তাই আমি
বাঁচি,
যত পাই তোমায় আরো তত যাচি, যত জানি তত জানি নে।
জানি আমি তোমায় পাব নিরন্তর লোকলোকান্তরে যুগযুগান্তর--
তুমি আর আমি মাঝে কেহ নাই, কোনো বাধা নাই ভুবনে।
মাঝে মাঝে হুমায়ুনের লেখা পড়ে শ্রদ্ধায় মাথা আরো নুয়ে
আসে, আফসোস হয় এই জীবনে এক মহামানবের পদধূলি নেয়া হয়নি! আর
তিনিই যখন আরেক কবি'র একটি কবিতার সামান্য একটি লাইনের ব্যাপ্তি বুঝিয়ে দেন
তখন সত্যিই শ্রদ্ধা-সম্মান ছাড়িয়ে আরো গভিরবোধের সন্ধান মেলে!
আমার কাছে যা "আত্মসমর্পন"!
সেই একমাত্র চিরসত্যের কাছে!
আমার কাছে যা "আত্মসমর্পন"!
সেই একমাত্র চিরসত্যের কাছে!
No comments:
Post a Comment