Saturday, July 22, 2017

মেয়ের খাওয়া

আজ সকালে বাইরে যাই যাই করেও গেলাম না। শনিবারের ছুটিটা পড়ার কাজে লাগানো গেলনা। বিকালে আবার শিলাপুর প্রোগ্রামে যেতে হবে।

মেয়েটা ৯ টার পরেই উঠে গেছে। উঠেই সে আর কারো কাছে যাবেনা! বাবা আছে তার সাথে আর কার কাছে যাবে!? অনেক বলে কয়ে হাতমুখ ধুয়ে নিয়েছি!

তাকে নিয়েই খেতে বসলাম টেবিলে। ভাবচি আমি যা খাই ওকেই একটু করে দিব। সে তখন টেবিলে রাখা রুটি, ডিম দেখে "ওটা কি"? শুরু করেছে। এরপর বললো "খাবে"।
ভাবলাম এমনিতেই যেমন বলে তেমন করেই এই "খাবে" বলা। তাকে একটু ছিড়ে দিলাম রুটি, ডিম সিদ্ধ একটু ভেঙে দিলাম। সে খেলো, এরপর নিজেই ছোট হাতে রুটি টেনে একটু একটু করে টুকরো মুখে দিচ্ছে!
নানী তাকে আরো একটু ডিম দিল, সে খাচ্ছে। ডিমের টুকরো বড় হয়ে গেলে ফেলে দিলে ভাবলাম খাবেনা। কিন্তু সে আবারো চেয়েই নিল। এইবার নানী তাকে একটা রুটি আর কিছুটা ডিম আলাদা প্লেটে দিল। সে চমৎকার করে ছিড়ে ছিড়ে একটু করে রুটি খেতে তাকলো। আবার আমাকে বলে "মজা!"

কী যে ভালো লাগলো! মেয়েটা একটু একটু করে নিজেই খাচ্ছে। দেখেই ভালো লাগে, আবার পড়ে গেলে যদি বলি "ওটা খেতে হয়না মা, দাও ফেলে দেই"! সে নিজেই বলে "আমি ফেলে দেই"! বলে নিজেই উঠে গিয়ে বোন প্লেটে ফেলে দেয়!

বেশ শান্ত হয়ে খেয়েছে আজ! আহা এমন করে যদি একটু খেতো!

২২/০৭/২০১৭

Monday, July 10, 2017

সময় তো সেই চব্বিশটি ঘন্টাই!

এ যুগে কবি রবীন্দ্রণাথ থাকিলে তাহাকে প্রতি প্রহরে কতটি ফোনকল ধরিতে হইত ইশ্বর জানেন। শরৎবাবু  ফেসবুকে কতশত পার্বতীর শিকার হইতেন কে বা বলিতে পারে!

এখনকার সময়ে আসিয়ে মানব সম্প্রদায় "কমিউনিকেশন স্কীল" এ এতখানিই বুৎপত্তি লভিয়াছে যে তাহার আহার নিদ্রা বলন চলন সবকিছুতেই একপ্রকার "যোগাযোগ-যোগাযোগ" ভাব প্রকট! তাহারা সর্বদা "যোগাযোগ" রক্ষা করিয়া চলিয়াছে! তাহার সবটিই নাকি প্রয়োজনীয়, কতকক আবার "জীবনধারণের জন্য আবশ্যক"এরও কাছাকাছি!

ওহে মানব! তোমরা যে এত "যোগাযোগদর্শিতা" (যোগাযোগে বিষেশ পারদর্শিতা - ইহা একটি নব্যসৃষ্ট শব্দ যাহা তোমাদের প্রচলিত 'জটিল', 'মাম্মা', 'প্যারা' হইতে উন্নত বলিয়া বোধ করি!) অর্জন করিতেছ দিনের চব্বিশটি ঘণ্টার সময় কি কিছুটা বাড়িয়াছে নাকি? উহা তো সেই সেকেলে, তোমাদের বাক্যে "খ্যাত" এর মত আদিকালের ২৪ এই আটক রহিয়াছে!

তো ২৪ ঘন্টার কতটি সময় "যোগাযোগে" দিবে কিছু "গণিত" করা দরকার নহে কি?

সময় যে বড় মূল্যবান!
বড় মহার্ঘ্য বস্তু!
বড় আরাধ্য সম্পদ!

উহার কিছুটা বিভূতিভূষণ নাম্মী হিদু লোকটার মত করিয়া "চোখ মেলিয়া দেখিতে" তাকাও...

ইহাতেও কিছু স্রষ্টার সাথে যোগাযোগ ঘটে কিন্তু!

Monday, July 3, 2017

তুমি মদ খেয়ে এসেছো

আমরা সেই ছোটবেলা থেকে সিনেমাতে দেখে এসেছি নায়ক তার "জীবদ্দশার কোন এক পর্যায়ে" রাত করে বাড়ি ফেরে এবং ফেরার সময় মদ খেয়ে ফেরে! কারণ তার স্ত্রীর প্রতি ভীষণ অভিমান হয়েছে, নিজেকে শেষ করে দেবার জন্য সে মদ খেয়েছে। এমন না যে সে প্রতিদিনই মদ খায়। নায়ক খুব ভদ্র ছেলে এগুলোর ধারে কাছেও নাই, আর এগুলো বেশি দেখাতো শাবানা-আলমগীর যুগের সিনেমায়। তখনকার নায়কেরা তো আরো কনজার্ভেটিভ ছিলো; তারা তো কোন পার্টিতেও যেতনা, আর ছেলেখেলা করেও এখনকার ছেলেদের মত "ড্রিং" করতোনা.

তো সেই যাই হোক, সেই কঞ্জারভেটিভ নায়কের ততোধিক কঞ্জারভেটিভ নায়িকারা কি করে জানতো যে, "মদ" খেলে কেমন গন্ধ হয়!?"

নইলে দরজা খুলেই নাক কুঁচকে নায়কের উদ্দ্যেশে সে কেন বলতো: "তুমি মদ খেয়ে এসেছো!?!!!?"