আগেও আমাদের জ্ঞানী শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান'এর কথা ও কাজে তাকে যথেষ্ঠ উচ্চাভিলাষী মনে হয়েছে; এবং বাস্তবতাও তাই বলে! দেশের কয়েক লাখ টাকার এক একটি ডিজিটাল ক্লাসরুম ইউনিট এখন কি অবস্থা কেউ কি জানেন? দেশের প্রাইমারি স্কুলগুলোতে ক্লাসরুমের জন্য যে প্রজেক্টর আর শিক্ষকদের জন্য ল্যাপটপের শতকরা ১০ ভাগ সচল আছে কিনা আমার সন্দেহ হয়! অথচ আমাদের (সরকারের বলছি না কারণ "আমরাই সরকার"; টাকাটা "আমাদের") কোটি কোটি টাকা এর পেছনে গেছে!
এর চাইতে এই অর্থ স্কুলগুলোর শিক্ষকদের পকেটে দিতে পারলে তারা শিক্ষাদানে আগ্রহী হতেন বলে আমি বিশ্বাস করি!
যাই হোক এটি একটি দীর্ঘ আলোচনার বিষয়; কিন্তু এইমাত্র ৭১ টিভি'র আলোচনায় শুনলাম ক্লাস ওয়ানে ভর্তির ক্ষেত্রে নাকি "অভিভাবকের ঠিকানা"র সার্ভে করা হবে; যে যেই স্থানের মোটামুটি স্থায়ী তারা সেই স্থানের স্কুলে ভর্তির সুযোগ পাবে; বাকিরা না!
তারমানে সোজা কথায়; "সার্ভে" ব্যাপারটা যদি করাই যায় (এহেন সার্ভে "ফলপ্রসুভাবে" করা যায় বলে আমি আস্বস্ত নই; অন্তত বর্তমান অবস্থায়!) তাতে বেইলি রোড আর মতিঝিল; উত্তরা; বারিধারার জন্য বাইরের শিশুদের পথ মোটামুটিরকম বন্ধ!
নে ভাই একটা আলাদা "জোন" তৌরি করা গেল! ঐগুলোই "আশ্রাফ" থাক; বাকিরা "আতরাফ"!
তার প্রশ্নপত্র প্রনয়ণ ও বন্টনের আধুনিক নিয়ম যে মাঠা মারা গেছে তা আর বলতে! তিনি বলেন "একটা সিস্টেম দাড় করতে সময় লাগে"। সময় দিতে দিতে যে আরেকটা ভূল সিস্টেম দাঁড়িয়ে যাচ্ছে!?
যাইহোক! তিনি বিশ্বের ৮০ টি দেশ ঘুরে; বিভিন্ন সভ্যতা দেখে-শুনে অনেক ভূয়ো-দর্শন হয়ত পেয়েছেন; কিন্তু আমার কেন যেন মনে হয় সেগুলো "বাস্তবাতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়; আমাদের সামাজিক ব্যাবস্থা উপযোগি নয়; অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী"!
একমাত্র সময়ই বলে দিতে পারে তিনি "দূরদর্শী" নাকি "অন্ধ"! তবে এখন তিনি "চোখে ভালো দেখেন না" বলেই মনে করছি!