এই প্রশ্ন আমার হঠাত মনে হল গান শুনতে শুনতে! প্রবল ঢিঞ্চাক গান; দেশী রেডিওতে এখন দেদারসে বাজছে দেশীর পাশাপাশি পাশের দেশের গান! সেকথা এখন থাক; বলিলে তো অনেক বলিতে হইবে....!
যাই হোক সেই প্রবল ঢিঞ্চাক গান শুনে আমার আসলেই হার্টবিট বেড়ে গেল; একটা উন্মাদনার আভাসও মস্তিষ্ক জানান দিল; মনে হল আহা এই গান যদি কোন কন্সার্ট বা সেইরকম সাউন্ড সিস্টেমে শোনা যেত তাহলে খুব একটা দারুণ অভিজ্ঞতা হত! সেই গানে ঢোলের ব্যাবহার ছিল খুব; সেটাই মূলত বুকের ধুকপুকানির জন্ম দিচ্ছিল। মনে পড়ল ইসলাম তো বাদ্যযন্ত্রের ব্যাবহার সীমাবদ্ধ রেখেছে সেই চামড়ার ছোট ঢোল বা.... এর মাঝেই এবং নিষিদ্ধ করেছে সেইসব বাদ্যযন্ত্র যেগুলো স্নায়ুকে আলোড়িত করে; সাধারনত সেগুলো অনেক তারযুক্ত বাদ্যযন্ত্রগুলো যেমন গীটার!
তো এইসব গীটার; ড্রাম কি করে?
এগুলো আমাদের মস্তিষ্ককে আলোড়িত করে; উত্তেজিত করে; আমাদের হার্টবিট বেড়ে যায়; শ্বাস-প্রশ্বাস ঘন ও অগভীর হয়ে যায়; কোন কোন ক্ষেত্রে আমাদের চোখে পিউপিল বড় হয়ে যায়; আমরা ঘামতে থাকি; সব ইন্দ্রিয় সজাগ হয়ে ওঠে... এগুলো সবই হচ্ছে Sympathetic Action; মেডিকেলীয় পরিভাষায় সিম্প্যাথেটেক এর সাথে প্রচলিত ইংরেজী Sympathy এর কোন মিলই নেই তাই শিরোনামে থেমে থাকার সুজোগ নেই!
ইসলাম বলে মুসলামান জীবন-যাপন করবে প্যারাসিম্প্যাথেটিক! মানে!?
Parasympathetic action বা activity বলতে খুব প্রচলিত উদাহরণ হচ্ছে ঘুমের সময়! আরো ভালোভাবে বুঝতে আপনি যখন খুব গভীরভাবে কোনকিছু ভাবেন বা ধ্যানে থাকেন তখন আপনার শ্বাস-প্রশ্বাস হয় আস্তে আস্তে কিন্তু গভীর; হৃদস্পন্দন কমে আসে (লম্বা শ্বাস মানেই লম্বা জীবন! একথা আরেকদিন বলিব! খুবই চমৎকার ব্যাপার!!); শরীরের তাপমাত্রা কমেও আসতে পারে; চোখের পিউপিল ছোট হয়ে আসে (ঘুমের সাথে বা অন্ধকারে তাকানোর সাথে মিলে যায় তাইনা!?);
এসব উদাহরণ যোগী বা ইয়োগীদের (নাছারার দেশ ভারতেই এই যোগী বেশী! ব্যাটারা আবার য়্যুবরাজ'এর মত "ইয়োগী" বানাইছে সেইখান থেকে "ইয়োগা"; বলিউড গার্লরাও এখন ইয়োগা ব্যাবসা করে!) সাথে মিলে যায় তাইনা!? যারা ধ্যান করতে করতে এমন পর্যায়ে পৌছায় যে তাদের শরীরের শ্বসন বা মেটাবোলিজম পর্যন্ত কমে যায়; কয়েকদিন খেতেও হয়না; বাইরের আঘাত-শব্দ-তাপ মোটকথা এই দুনিয়ার কোন স্টিমুলেশন বা প্রভাবক তাকে জাগাতে পারেনা!
তো নামাজ কি সেই ধ্যান না!?
নামাজ কি এমনভাবে পড়তে বলা হয়নাই যে আপনি আল্লাহকে দেখছেন আল্লাহ আপনাকে দেখছেন; এই উদাহরণ কি পৃথিবীতে নাই যে পায়ে গেথে থাকা তীর যেটা ব্যাথার কারণে খোলা যাচ্ছিল না সেটা নামাযরত অবস্থায় টেনে খোলা গেল এবং নামাযী কোন অনুভূতিই পেলেন না! কি অসম্ভব একাগ্রতা! (সুবহানাল্লাহ!) এবং যিনি ব্যাথা কারণে পায়ের তীর খুলতে দিচ্ছিলেন না তিনি সেই ব্যাক্তি যিনি মদিনার প্রবেশপথের পুরো দরজা এক হাতে তুলে নিয়ে ঢাল বানিয়েছিলেন; ইয়াহুদি নাসারাও বিরাট কাজে ঝাপ দেয়ার আগে তার নাম চিৎকার করে বলে ওঠে "ইয়া আলী"!
তো ইসলাম আসলে সিম্প্যাথেটিক না প্যারাসিম্প্যাথেটিক!
প্যারাসিম্প্যাথেটিক!
*** আমি ইসলাম নিয়ে এমন কথা খুব একটা বলিনা; এমনিতে আমি মূর্খ মানুষ; জ্ঞান কম; নিজেও খুব মানতে পারি তাও না; ভুল হলে শোধরানোর মানসিকতা রাখি। তারপরেও যদি এই কথাগুলো কাউকেও ভাবায় এই চিন্তা থেকেই লেখা। আসলেই "ঠিক" কোন পথ তা আল্লাহই ভালো জানেন!
ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকিম!
ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকিম!